নিউজ ডেস্ক:-

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বলোরাম নামে এক কলেজছাত্রের বাড়ীর আঙিনায় বিষের বোতল হাতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নিয়েছিলেন এক কলেজছাত্রী। সাংবাদিক ও পুলিশের সামনে কলেজছাত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে কলেজছাত্র বলোরাম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।

ঘটনাস্থল থেকে কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত কলেজছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে কলেজছাত্রীর পরিবার।

 

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের লোহাগাড়া গ্রামের এ ঘটনা। কলেজছাত্র বলোরাম ওই এলাকার দিলীপ কুমারের ছেলে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে কলেজছাত্র বলোরাম।

 

কলেজছাত্রীর অভিযোগ, দীর্ঘ ৩ বছর প্রেমের সম্পর্ক চলছিল দুজনের মধ্যে। একাধিকবার শারীরিক মেলামেশাও হয়েছে দুজনের। তবে পারিবারিক ভাবে বিয়ে প্রস্তাব দিলেও কলেজছাত্রের পরিবার রাজি হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নিয়েছিলেন কলেজছাত্রী।

 

স্থানীয়রা বলছেন, কলেজছাত্রী ও বলোরাম সম্পর্কে কাকা-ভাস্তি। এদিকে কলেজছাত্রের পরিবার বৃত্তবান হওয়ায় গরীব ঘরের মেয়েকে মেনে নিতে রাজি নয় তাঁরা। এ ঘটনা নিয়ে দুদিন আগে স্থানীয় ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেছিল এলাকার লোকজন।

 

পাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী রুবেল জানান, একাধিকবার বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছি। ছেলের পরিবার কোন ভাবেই বসতে রাজি না।

 

বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এন এম নুরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক ও পুলিশের সামনে মেয়েটাকে মারধর করা উচিত হয়নি। প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক ছিলো, হয় বিয়ে করবে, নাহলে বিষয়টি বসে মীসাংসা। কলেজছাত্রের পরিবার রীতিমত সবাইকে হুমকি দিচ্ছে, বলছে মামলা করতে।

 

কলেজছাত্রীর বাবার সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ ঘটনায় মামলা প্রস্তুতি চলছে।

 

বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ কবির জানান, অভিযোগ পেলে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।